আক্রমণ আক্রমণ খেলা বন্ধ করার আহ্বান ফারুকীর
বিনোদন ডেস্ক
চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ের ফারুকী। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি ছাত্রদের পাশে ছিলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাদের উৎসাহিত করেছেন। আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ সংস্কারের কথা বলেন তিনি।
আক্রমণ আক্রমণ খেলা বন্ধ করার আহ্বান ফারুকীর |
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবার প্রতিনিধিত্ব করছেন উল্লেখ করে ফারুকী লিখেছেন, "অধ্যাপক ইউনূসের আজকের বক্তৃতা আমাকে অনেক আশ্বস্ত করেছে। তার কথার মধ্যে অন্তর্ভুক্তির স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল। আজকে তার মনে হয় না যে তিনি শুধুমাত্র একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটা আমার কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। গত কয়েকদিন ধরে জনগণের ঐক্যের চেতনা কিছুটা শিথিল হচ্ছে বলে আমি মনে করছি।'
তিনি আন্দোলন সম্পর্কে বলেন, ‘যেদিন হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে ছাত্রদের লাথি দিয়ে বের করে দিয়েছেন, সেদিন থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বিএনপি, বাম দল, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল, শ্রমিক, গৃহিণী, গৃহকর্মীরা। বাবা-মা এবং প্রত্যেকে সেই চেতনা নিয়েছিল যা ফ্যাসিবাদী শক্তির পতনের দিকে নিয়েছিল হিস হিস কে কে।
ফারুকী মন্তব্য করেন, 'আমরা এখন নতুন সমাজ গড়তে চাই। সুতরাং আমাদের খোলামেলা হওয়া উচিত যে এই ফলআউটটি আন্দোলনের যোগ্যতা এবং মাস্টারমাইন্ড নিয়ে বিতর্কের মাধ্যমে শুরু হয়। এই আত্মঘাতী কাজ বন্ধ করার সময় এসেছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই এই আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী। বিভাজনের খেলা বন্ধ করা যাক। মনে রাখবেন যে বিপ্লব অন্তর্ভুক্তির মধ্যে সফল হয়। বিপ্লব বিভাজনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন:অতিভারী বৃষ্টি, পাহাড় ধস ও বন্যার শঙ্কা
শেষে পরিচালক লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বাইরে যারা আছেন তারা যেন একে অপরকে আক্রমণ না করে, নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যান। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে। যারা কম ভোট পায় তাদেরও নতুন সহনশীল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে। আক্রমণাত্মক খেলা এখনই বন্ধ করা জরুরি। যারা আগে থেকেই রাজনৈতিক দলে আছেন এবং যারা পার্টি করবেন- দুই দলই। আর সবাই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনকে সাহায্য করে।'
Post a Comment