৭ বছরের অভিমান ভুলে মালাইকার বাড়িতে গেলেন সালমান খান

বিনোদন ডেস্ক

অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা নব্বই দশকের শেষ দিকে বলিউডের ভাই সালমান খানের বড় ভাই আরবাজ খানকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির সুখী পরিবার ছিল।

৭ বছরের অভিমান ভুলে মালাইকার বাড়িতে গেলেন সালমান খান

দীর্ঘ ১৯ বছর এক ছাদের নিচে কাটানোর পর, মালাইকা-আরবাজ ২০১৭ সালে হঠাৎ করে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। মালাইকা অন্য কারো প্রতি ক্রাশকে তাদের ব্রেকআপের জন্য দায়ী করা হয়েছিল।

সালমান খান তার ভাইয়ের পরিবারকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। মালাইকার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু কোনোভাবেই গলতে পারেননি অভিনেত্রীর মন।

এরপর মালাইকার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক ভেঙে যায়। দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। কথাবার্তাও থেমে গেল। ২০১৭ সাল থেকে ৭ বছর পেরিয়ে গেছে, এই দীর্ঘ সময়ে সালমান-মালাইকাকে কখনও এক ফ্রেমে দেখা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার মালাইকা অরোরার বাবার মৃত্যুর খবর শোনার পর মাঝরাতে নায়িকার বাড়িতে হাজির হন সালমান খান। বড় ভাইয়ের সাবেক স্ত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মৃত্যুর আগে মালাইকার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন বাবা অনিল কুলদীপ মেহতা। তারপর ফোন বন্ধ করে দেন।

জানা গেছে, অভিনেত্রীর বাবা ডিপ্রেশনের রোগী ছিলেন। মৃত্যুর খবর শুনে পুনে থেকে শহরে ছুটে আসেন মালাইকা। এর আগে সেখানে পৌঁছে যান মালাইকার প্রাক্তন স্বামী আরবাজ খান। সালমানের বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও এসেছিলেন সাবেক পুত্রবধূর পাশে।

আরও পড়ুন:অবশেষে ভারত সিরিজে তামিমও থাকছেন

বৃহস্পতিবার শেষকৃত্যের পর মধ্যরাতে মালাইকার মায়ের ফ্ল্যাটে যান সালমান। সকাল থেকেই সেখানে ছিল কড়া পুলিশি পাহারা। মালাইকার সঙ্গে দেখা করতে ভিড় জমান তারকারা। দিনের শেষে সেখানে হাজির হন ভাইজান।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কড়া নিরাপত্তায় মালাইকার বাড়িতে ঢোকেন সালমান। এদিকে অভিনেত্রীর বাড়ির বাইরে সালমানের ভক্ত ও পাপারাজ্জিদের ভিড় জমেছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যান মালাইকার বাবা অনিল মেহতা। এটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে।