আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আইনি ব্যবস্থা নিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্যকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলার আসামি এএসআই মোঃ আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনে হস্তান্তর করা হয়।

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর দফতর ও প্রশাসন) আবু বকর সিদ্দিক সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাইদ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালতে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনের নামে ১৬ জনের নামে মামলা করেন।

এর আগে গত ১৭ জুলাই পরস্পরের যোগসাজশে সাধারণ ও মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতাকে গুরুতর আহত, চুরি, ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি, অগ্নিসংযোগ ও নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের হত্যাসহ ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৭৯ /435/427 বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায় বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এতে বিএনপি, জামায়াত-শিবির সমর্থিত নেতাকর্মী ও দুর্বৃত্তসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন হাজার হামলাকারীকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন:কোনো রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে আ.লীগের পতন হয়নি

মামলার বিবরণের মধ্যে এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের গোলাগুলি ও পাথর ছোড়ার সময় এক ছাত্রকে রাস্তায় পড়ে যেতে দেখা গেছে। পরে সহপাঠীরা তাকে ধরে জরুরী চিকিৎসার জন্য বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ছাত্রের নাম আবু সাইদ।

No comments

Powered by Blogger.