চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে নিহত ১, হাসপাতালে ভর্তি ৭ জন

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের এন কর্পোরেশনের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ এস আহমেদ উল্লাহ (৩৮) মারা গেছেন। দগ্ধ আরও সাতজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে
চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।

দগ্ধরা হলেন- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), খায়রুল ইসলাম (২১), আল-আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)।

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা নজরুল ইসলাম জানান, গতকাল সকালে সীতাকুণ্ড শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ ও আগুন লাগে। এতে ১২ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন : গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মধ্যরাতে ৮ জনকে ঢাকায় আনা হয়। এদের মধ্যে আহমদ উল্লাহ ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। তিনি শিপইয়ার্ডের ম্যানেজার ছিলেন। দগ্ধ বাকি সাতজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাতে সাতজনকে এখানে আনা হয়েছে। ঢাকায় নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের শরীরে ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের শরীরে ৭০ শতাংশ, বরকতুল্লাহর শরীরে ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের শরীরে ২৫ শতাংশ, খায়রুল ইসলামের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের শরীরে ৮০ শতাংশ এবং হাবিবের শরীরে ৪৫ শতাংশ ক্ষত রয়েছে। শরীর পুড়ে গেছে।

দগ্ধদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.