সংবাদপত্রের আলোচিত খবর/টাকা পাচারের স্বর্গ বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় দৈনিকে প্রতিদিন অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেসব সংবাদ থেকে আলোচিত কিছু সংবাদ সংকলিত হয়েছে।

সংবাদপত্রের আলোচিত খবর/টাকা পাচারের স্বর্গ বাংলাদেশ
সংবাদপত্রের আলোচিত খবর/টাকা পাচারের স্বর্গ বাংলাদেশ
নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের কর ছাড় দিয়েছিল সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। ব্যবসায়ীদের খুশি করার জন্য এই শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে, নির্বাচনের ঠিক আগে, মোট প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক বছরে এত শুল্ক ছাড় আর কখনো দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া চলুন দেখে নেই অন্যান্য খবর-

প্রথম আলো

আওয়ামী সরকার নির্বাচনের আগে ৩৪ হাজার কোটি টাকা কর ছাড় দিয়েছে

২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এনবিআর কাস্টমস কর্মকর্তাদের মতে, এই নির্বাচনের আগের বছর, বিভিন্ন খাতে শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল মূলত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়ার জন্য।

ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (IMF) এর শুল্ক-কর ছাড় কমানোর শর্ত রয়েছে। বৈশ্বিক ঋণদাতা $৪.৭ বিলিয়ন ঋণের শর্ত হিসাবে কর ছাড় কমানোর জন্য বলেছে। সংস্থাটি মনে করে যে শুল্ক-কর রেয়াত যৌক্তিক করা প্রয়োজন। শুল্ক যৌক্তিককরণ এবং কর অব্যাহতি স্থানীয় উৎস থেকে রাজস্ব উৎপাদন বৃদ্ধি করবে।

মানুষের জমি

রাষ্ট্রপতির দুবাই সংযোগ নিয়ে নানা কৌতূহল

মালয়েশিয়ায় সাহাবুদ্দিনের দ্বিতীয় বাড়ি, দুবাইয়ে অংশীদারি ব্যবসা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসের খবরে অন্তর্বর্তী সরকারকে নাড়া দিয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতির দুবাই সংযোগ নিয়ে অনেক কৌতূহল দেখা দিয়েছে।

হিউম্যান ল্যান্ডের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সর্বশেষ গত মার্চে দুবাই সফরে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় দুই দেশের যথাযথ প্রটোকল অনুযায়ী তিনি পরিবারের সঙ্গে সেখানে দুই রাত কাটান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশচুম্বী বুর্জ আল খলিফা ঘুরে আসুন। তার সম্মানে একটি রিভার ক্রুজ এবং গালা ডিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বড় বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রপতির ছেলে আরশাদ আদনান রনিও অংশ নেন। দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির বিদেশে সম্পদের তথ্য প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের একাধিক সংস্থা ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেন।

প্রথম আলো

এত বিদ্যুৎ কেন্দ্র, লোডশেডিং কেন?

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জ্বালানি নিশ্চিত না করে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। চাহিদাও আমলে নেওয়া হয় না। ফলে প্রতি বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে দীর্ঘ সময় অলস বসে থাকতে হয়। অলস কেন্দ্রের ভাড়া আমাকে দিতে হবে। খরচের চাপ মোকাবেলা করতে, ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়েছে, সরকারের দায় বাড়ছে। কিন্তু তিন বছর ধরে গরম বাড়লেই লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে।

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর (গত ৮ আগস্ট) একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই। ফলে লোডশেডিং বেড়েছে। সোমবার গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।

দেশ রূপান্তর

পছন্দের বসদের কাঁধে বহন করার ভার

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা মো. ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ, তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসাবে বাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্বাভাবিক মেয়াদ অনুযায়ী ১১ জানুয়ারী, ২০২৩-এ তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে ১১ জুলাই, ২০২৪ পর্যন্ত সরকার তাকে আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।

তবে এখানেই শেষ নয়, চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে গত ৫ জুলাই আইজিপি পদে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তবে এবার তার ভাগ্য ভালো ছিল না। ছাত্রদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট তাকে অবসরে পাঠানো হয়। আর এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ৩ সেপ্টেম্বর তাকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয় এবং বর্তমানে আট দিনের রিমান্ডে রয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় দুর্বলতার কারণে তিনি পুলিশের রেকর্ড ভেঙে পরপর দুইবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন:‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন লাগবে’

আজকের পত্রিকা

রেলওয়ের ১৫ বছর: ২.৫ টাকা খরচ করে ১ টাকা উপার্জন করুন

বছরের পর বছর লোকসান গুনছে রেল। কিন্তু দুই যুগের একটু বেশি আগেও এই খাতটি লাভজনক ছিল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে রেলে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং লোকসান হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিবছর গড়ে দেড় হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে রেলকে। সে হিসেবে বর্তমানে রেলওয়ের ব্যয় আয়ের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত ব্যয় রেলের লোকসানের অন্যতম কারণ। এছাড়া টিকিটবিহীন ভ্রমণ এবং প্রায় সব ট্রেনেই অর্ধেকেরও কম বগি (কোচ) হাওয়া দিয়ে চলাচল করে

No comments

Powered by Blogger.