লিভিংস্টোন ঝড়ে অজিদের হারাল ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক

হেরে গেলেই সিরিজ হারতে পারত ইংল্যান্ড। কারণ সফরকারী অস্ট্রেলিয়া তাদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৮ রানে জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, জশ ইঙ্গলিস ও ট্রাভিস হেডের ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে তারা। একটি বড় লক্ষ্যের বিরুদ্ধে তার ৫০ তম টি-টোয়েন্টি খেলে, লিয়াম লিভিংস্টোন অলরাউন্ড দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। যার মাধ্যমে ৩ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ইংলিশরা।

লিভিংস্টোন ঝড়ে অজিদের হারাল ইংল্যান্ড

সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজের পর অজিদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। যেখানে লিভিংস্টোনকে দলে রাখা হয়নি। তাই গতকালের (শুক্রবার) ম্যাচে পারফরম্যান্স দিয়ে হয়তো নামটা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। লিভিংস্টোন গত তিন বছর ধরে ইনজুরি-প্রবণ ক্যারিয়ারে রয়েছে, গতকাল ছিল তার ৫০তম টি-টোয়েন্টি। কার্ডিফ ম্যাচে তিনি ৪৭ বলে ৮৭ রান করেন এবং বল হাতে ১৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দেন।

লিভিংস্টোন তার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে জ্যাকব বেথেলের সাথে ৯০ রানের জুটি গড়েন। টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা টানা চারটি বাউন্ডারিতে ২০ রান করেন। তবে দলের জয়ের ভিত গড়ার পর ২৫ রান বাকি থাকতেই আউট হন তিনি। 

২৪ বলের এক ইনিংসে তিনি ৪৪ রান করেন। লিভিংস্টোন প্রায় শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন। ৪৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে তিনি ৬ চার ও ৫ ছক্কা মেরেছিলেন। আর তাতেই ৩ উইকেট ও এক ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্য অতিক্রম করে ইংল্যান্ড।

অজিদের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিলেও জয়ে তা বৃথা যায় ম্যাথু শর্ট। এর আগে এই ওপেনারের সঙ্গে ২৪ বলে ২৮ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত স্ট্রীক থাকা ট্রাভিস হেড ব্যাট হাতে ঝড় তোলার অভ্যাস দেখিয়েছেন। 

আরও পড়ুন:১০ বছর পর পর্দায় ফিরছেন ইমরান, থাকছে চমক

যাইহোক, হেড মাত্র ১৪ বলে ৩১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস নিয়ে বাউন্স ব্যাক করেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩১ বলে ৫০ রান করেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। তার সঙ্গে জশ ইংলিশ ২৬ বলে ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যারন হার্ডির ক্যামিওতে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ওভারে ১৯৩ রানের বড় পুঁজি পায়।

ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন লিভিংস্টোন ও ব্রাইডন কার্স। রোববার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। যা সিরিজ নির্ধারণী ফাইনালে পরিণত হবে।